লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হেজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স দাবি করেছে, শুক্রবার বৈরুতে এক হামলায় হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে।
হেজবুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। নাসরাল্লাহর হত্যাকাণ্ডের পরেও লড়াই চালিয়ে যাওয়া ঘোষণা দিয়েছে হেজবুল্লাহ।
ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্স দাবি করছে, হাসান নাসরাল্লাহকে টার্গেট করে সে হামলা চালানো হয়েছিল। এই হামলায় হাসান নাসরাল্লাহর সাথে হেজবুল্লাহর সাউদার্ন ফ্রন্ট কমান্ডারও নিহত হয়েছে।
আইডিএফ চিফ অব স্টাফ লেফট্যানেন্ট জেনারেল হারজি হালেভি এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, “এখানে বার্তা খুব পরিষ্কার। ইসরায়েলি নাগরিকদের যারা হুমকি দেবে তাদের কীভাবে খুঁজে বের করতে হয় সেটা আমরা জানি। সেটা উত্তরে, দক্ষিণে কিংবা আরো দূরে হলেও আমরা খুঁজে পারবো।”
আইডিএফ বলছে, দক্ষিণ বৈরুতে হেজবুল্লাহর সিনিয়র নেতারা যখন বৈঠক করছিলেন তখন সেখানে হামলা চালানো হয়। দক্ষিণ বৈরুতের এ জায়গাটি হেজবুল্লাহর একটি শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।
আইডিএফ তাদের ‘এক্স’ প্লাটফর্মে লিখেছে, হাসান নাসরাল্লাহ পৃথিবীতে আর আতঙ্ক ছড়াতে পারবেনা।
লেবাননে হামলায় ১১ জন নিহত হয়েছে বলে ইসরায়েল জানিয়েছে।
হামলায় ইরানের রেভল্যুশনারি গাডর্সের একজন ডেপুটি-কমান্ডার নিহত হয়েছে বলে ইরান নিশ্চিত করেছে।
এই হামলার পর ইরাকে তিনদিনের শোক ঘোষণা করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ইসরায়েল সকল সীমা অতিক্রম করেছে।
ইরানের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ওই হামলা 'যুদ্ধাপরাধ'- যার জন্য ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দিতে বাধ্য করা উচিত।
ইয়েমেনের বিদ্রোহী হুথিরা শোক প্রকাশ করে বলেছে,এর ফলে তাদের প্রতি সমর্থন আরো জোরালো হবে এবং তারা আরো বড় হয়ে উঠবে।
Post a Comment