'আন্তর্জাতিক আদালতে হাসিনার বিচার নিয়ে আলোচনা’

 আন্তর্জাতিক আদালতে হাসিনার বিচার নিয়ে আলোচনা’



প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গত জুলাই-অগাস্টে কোটা সংস্কার ও পরবর্তীতে সরকার পতন আন্দোলনের সময় যে হতাহত হয়েছে, এর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত- আইসিসিতে মানবতা বিরোধী অপরাধের মামলা করার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ডঃ মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান প্রসিকিউটর করিম খান। সেখানে তারা এ বিষয়ে কথা বলেন।

জুলাই-অগাস্টের আন্দোলনে শতশত মানুষ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ২০ হাজারের বেশি মানুষ। এ জবাবে প্রখ্যাত ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজ্ঞ করিম খান বলেন বাংলাদেশ অবশ্যই হেগভিত্তিক আইসিসি-তে অভিযোগ করতে পারে।

আজকের পত্রিকার প্রথম পাতার খবর, ‘বিএনপিকে ছাড়াই নতুন জোট গঠনের চিন্তায় জামায়াত’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, দীর্ঘ সময় বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ থাকা দল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন পৃথক জোট গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এ লক্ষ্যে সমমনা ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে আলাপ-আলোচনা ও মতবিনিময় শুরু করেছেন জামায়াতের নেতারা।

গত ১৫ই অগাস্ট থেকে এ পর্যন্ত অনেকগুলো রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেছে জামায়াত।

এর মধ্যে চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন, ১২ দলীয় জোট, জাকের পার্টি, লেবার পার্টি, খেলাফত মজলিসের দুই অংশ ও ফরায়েজী আন্দোলন উল্লেখযোগ্য।

এছাড়া ব্যক্তিপর্যায়ে বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক ও আলেমদের সঙ্গে পৃথক মতবিনিময় করেন জামায়াতের আমির।

জামায়াতের নীতিনির্ধারকেরা বলছেন, মতের ভিন্নতা থাকলেও ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য চায় জামায়াত। দলগুলোও এই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পেরেছে।

যদিও আলোচনার মধ্যেই এই প্রক্রিয়া সীমাবদ্ধ রয়েছে, চূড়ান্ত কোনো কিছু এখনো হয়নি।

১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেয় জামায়াতে ইসলামী। ওই দুই নির্বাচনে যথাক্রমে ১২ দশমিক এক এবং আট দশমিক ছয় শতাংশ ভোট পায় দলটি। ২০০১ এবং ২০০৮ সালে বিএনপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করে জামায়াত।

এরপর নিবন্ধন হারানোর পর ২০১৮ সালে বিএনপির প্রতীকে জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে নানা কারণে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

পত্রিকা

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের মুক্তি ও গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবে রূপ দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে নতুনভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস এ আহ্বান জানান। তিনি বাংলায় ভাষণ দেন।

বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ভাষণ দেন শান্তিতে নোবেল বিজয়ী এই অর্থনীতিবিদ।

সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে বাংলাদেশে সুশাসন ফিরিয়ে আনা এবং মানুষের মৌলিক অধিকারকে সমুন্নত ও সুরক্ষিত রাখার ওপরেও জোর দেন তিনি।

বিশেষ করে যেসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় কাজ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত, তাদের প্রত্যেকের জবাবদিহিতা যেন নিশ্চিত করা যায়। এমন রাষ্ট্র ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষ মুক্তভাবে কথা বলবে, ভয়ভীতি ছাড়া সমাবেশ করবে, তাদের পছন্দের ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে—এটাই আমাদের লক্ষ্য। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং সাইবার ডোমেইনসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুসংহতকরণেও আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’।

আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমকালীন নানা বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যতের পৃথিবীর কথাও ভাষণে উল্লেখ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রায় প্রতিটি দৈনিকে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেয়া ড. ইউনূসের বক্তব্য প্রধান শিরোনাম হয়েছে। এ কারণে অন্যান্য খবরে নজর দেয়া হল।


Post a Comment

Previous Post Next Post